SMV কি? গার্মেন্টসে Efficiency কিভাবে বের করবেন?

গার্মেন্টসে SMV কি?

আদর্শ পরিবেশে একজন দক্ষ অপারেটর দ্বারা একটি কাজ সাবলীল ভাবে সম্পূর্ণ করতে যে সময় লাগে তাই ঐ কাজের আদর্শ সময় বা এসএমবি (SMV)। তবে অনেকে SMV কে ইফিসিয়েন্সি বলে থাকে

গার্মেন্টসে SMV কি কাজে ব্যবহার করা হয়?

  • প্রোডাকশন প্ল্যান করা।
  • টার্গেট সেট করা।
  • ক্যাপাসিটি বের করা।
  • নতুন কাজের আদর্শ সেট করা।

SMV এর গঠন?

প্রতিটি কাজের পদ্ধতি ধারাবাহিকভাবে কিছু অঙ্গ নড়াচড়ার ফলে গঠিত হয়। যেমনঃ

  • উত্তোলন করা।
  • সোজাভাবে ধরা।
  • সঠিকভাবে ধরা।
  • সুইং করা।
  • সুতা কাটা।
  • পরবর্তী অপারেটরের জন্য গার্মেন্টস গুছিয়ে রাখা।

SMV বের করার নিয়ম?

ইফিসিয়েন্সি সাধারণত দুইটা নিয়মে বের করা যায়। যেমনঃ

  1. টাইম স্টাডি।
  2. PMTS (পিএমটিএস)।

টাইম স্টাডি (Time Study):- 

  • দক্ষ অপারেটর নির্বাচন করতে হবে।
  • কাজের পদ্ধতি ঠিক করতে হবে।
  • কাজে অভ্যস্ত করতে হবে।
  • ১০ ঘন্টা প্রতি পিসের সাইকেল টাইম নিতে হবে।
  • এভারেজ সাইকেল টাইমের সাথে রেটিং গুন করে বেসিক টাইম বের করতে হবে।
  • বেসিক টাইম এর সাথে এলাউন্স যোগ করে SMV বের করতে হবে।

PMTS (পিএমটিএস) ( Predetermined Motion and Time System):- পূর্ব হতে নির্ধারিত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের গতিবিধি ও সময়ের আদর্শকে PMTS বলে। বিভিন্ন ধরনের মোশনের জন্য কতটুকু সময় দরকার তা বিজ্ঞানীরা গবেষনা করে একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে নিয়েছেন তাই PMTS.

যে কোন অপারেটরের এক পিস কাজ করতে যে সময় লাগে তাকে Cycle time বলে।

Cycle time এর ব্যবহারঃ

  • অপারেটরের কাজের দক্ষতা পরিমাপ করা।
  • লাইন ব্যালেন্সিং করা।
  • অপারেটরের কাজের পদ্ধতি উন্নয়ন করা।

ইফিসিয়েন্সি (Efficiency): ইফিসিয়েন্সি শব্দের অর্থ হল কর্মদক্ষতা। ইনপুট এবং আউট এর রেশিও কে ইফিসিয়েন্সি বলে।

ইফিসিয়েন্সি বের করার নিয়ম? ইফিসিয়েন্সি সূত্রঃ

 

ইফিসিয়েন্সি বাড়ানোর নিয়মঃ

  • কম সময় ব্যবহার করে বেশি প্রোডাকশন করলে “ইফিসিয়েন্সি” বাড়ে।
  • কম শ্রমিক ব্যবহার করে বেশি প্রোডাকশন করলে “ইফিসিয়েন্সি” বাড়ে।
  • আউটপুট ঠিক রেখে কম সময় এবং কম শ্রমিক ব্যবহার করলে “ইফিসিয়েন্সি” বাড়ে।

ওয়ার্ক স্টাডি (Work study) কি?

Work study হলো সময় পরিমাপ কারী। ওয়ার্ক স্টাডি ফ্যাক্টরি উৎপাদন ক্ষমতা এবং একজন অপারেটরের কর্মক্ষমতা নিয়ে কাজ করে।

 

Leave a Comment