Fabric কত প্রকার ও কি কি? ফেব্রিক্স কিভাবে তৈরি করা হয়?

Fabric ফেব্রিক্স অর্থ কি?

Fabric অর্থ বস্ত্র বা কাপড়। আপনি যে পোশাক পড়ছেন সেটাই ফেব্রিক। ধরুন আপনি যে শার্ট অথবা প্যান্ট পড়ছেন সেটি কিসের তৈরি? এটা অবশ্যই কাপড়ের তৈরি, আর এই কাপড়টি হলো ফেব্রিক্স।

fabric koto prokar o ki ki

ফেব্রিক কিভাবে তৈরি হয়?

এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন কাপড় কিভাবে তৈরি হয়? ফেব্রিক বা কাপড় কয়েকটি সিস্টেমে তৈরি করা হয়। কাপড় কিভাবে তৈরি করা হয় এই বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে সুতা কিভাবে তৈরি হয়।

সুতা কিভাবে তৈরি হয়?

তুলা এবং পাট গাছের আঁশ থেকে কয়েকটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুতা তৈরি করা হয়। বিস্তারিত জানতে হয় আমাদের ওয়েবসাইটে সুতা কি? এবং সুতা কিভাবে তৈরি করা হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি চাইলে দেখে আসতে পারেন।

ফেব্রিক তৈরির প্রক্রিয়াঃ

ফেব্রিক কিভাবে তৈরি হয় ফেব্রিক প্রথমে ইয়ার্ণ থেকে উইভিং, নিটিং, মেল্টিং ও ফেল্টিং ইত্যাদি পদ্ধতির মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। তবে পোশাক উৎপাদনকারী দেশগুলোতে ফেব্রিক উইভিং এবং নিটিং পদ্ধতির মাধ্যমে সবথেকে বেশি ফেব্রিক তৈরি করে থাকে। কারণ এই দুটি পদ্ধতি খুবই সহজ এবং বাজেট কম পড়ে।

আপনি যদি টিভিতে বা অন্য কোথাও তাঁতিদের তাঁত বোনার কোন ভিডিও দেখে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন তাঁতিরা কিভাবে সুতা দিয়ে হাতের মাধ্যমে একটি লম্বা কাপড়ের তৈরি করে।

প্রাচীন যুগে মানুষ হাত দিয়ে তাঁত বুনে কাপড় তৈরি করত। কিন্তু বর্তমান আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন নিটিংয়ের মেশিনের সাহায্যে খুব অল্প সময়ে সুতা থেকে কাপড় তৈরি করা হয়।

নিটিং এবং উইভিং এই দুইটি সিস্টেমে উৎপাদিত ফেব্রিকের রং সাদা হয় যা গ্রে ফেব্রিক নামে পরিচিত। পরবর্তীতে এই সাদা ফেব্রিক গুলোকে ডাইনিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন রং করা হয়। এরপরে প্রিন্টিং এর মাধ্যমে ফেব্রিকে বিভিন্ন রঙের প্রিন্ট এবং ডিজাইন করা হয়। প্রিন্টিং হয়ে গেলে ফেব্রিক গুলো ভালো করে শুকিয়ে ফিনিসড প্রোডাক্ট হিসেবে পোশাক তৈরি করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি?

কাপড় কত প্রকার ও কি কি চলুন জেনে নেই। সাধারণত ফেব্রিক উৎসের উপর ভিত্তি করে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ১) কৃত্রিম ফেব্রিক। ২) প্রাকৃতিক ফেব্রিক।

কৃত্রিম ফেব্রিক কি?

যে সকল ফেব্রিক কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা হয় তাকে কৃত্রিম ফেব্রিক বলে। সাধারণত এধরনের ফেব্রিক পলিস্টার ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়।

প্রাকৃতিক ফেব্রিক কি?

যে সকল ফেব্রিক প্রাকৃতিক উদ্ভিদ এবং প্রাণিজ থেকে সংগ্রহ করা হয় সে সকল ফেব্রিক্সকে প্রাকৃতিক ফেব্রিক্স বলে। যেমনঃ কটন ফেব্রিক, সিল্ক ফেব্রিক, লিনেন ফেব্রিক ইত্যাদি।

ফেব্রিক কত প্রকার?

ফেব্রিককে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। ১) নিটেড ফেব্রিক। ২) ওভেন ফেব্রিক। ৩) নন-ওভেন ফেব্রিক।

নিটেড ফেব্রিক কি?

সুইয়ের সাহায্যে সুতা দ্বারা লুপ তৈরি করে সেই লুপের ইন্টারমেশিং করার পর যে কাপড় তৈরি করা হয় তাকে নিটেড ফেব্রিক বলে।

ওভেন ফেব্রিক কি?

টানা ও পড়েন দুই সুতার পরস্পর বন্ধনীর মাধ্যমে যে ফেব্রিক তৈরি করা হয় তাকে ওভেন ফেব্রিক বলে।

নন ওভেন ফেব্রিক কি?

টেক্সটাইলের ফাইবার এবং ধাতব ফায়েল এছাড়াও রাসায়নিক ব্যবহার করে যে ফেব্রিক তৈরি করা হয় তাকে নন ওভেন ফেব্রিক বলে।

ফেব্রিক তৈরির কৌশলের উপর ভিত্তি করে ফেব্রিককে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। ১) ওভেন ফেব্রিক। ২) নিটেড ফেব্রিক। ৩) ব্র্যাইডেড ফেব্রিক। ৪) নন ওভেন ফেব্রিক।

আশা করি কিছুটা হলেও ফেব্রিক সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

Leave a Comment